ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিদ্রোহের পথে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন আরেকটি দেশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৪ রাত

মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়ার পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল হয়ে উঠছে। দেশটির উপকূলীয় প্রদেশ লাতাকিয়া এবং তারতুসে শত শত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সিরিয়ার উপকূলীয় নগরী বানিয়াস এবং তার পার্শ্ববর্তী হাই আল কুসুর অঞ্চলের সড়কগুলো মৃতদেহে ভরে গেছে এবং রক্তে ভেসে গেছে। তাদের মধ্যে অনেককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং কিছু পরিবার প্রাণ বাঁচাতে বাড়ির ছাদে উঠে পালানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেখানেও তাদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

গত ডিসেম্বর মাসে আসাদ ক্ষমতাচ্যুতির মধ্য দিয়ে মুক্তি পান স্থানীয় এক নাগরিক আয়মান। কিন্তু সম্প্রতি, হাই আল কুসুরে সড়কে চলমান অভিযানে তিনি জীবনের জন্য হুমকির মধ্যে পড়েন। যদিও তিনি বেঁচে গেছেন, তবে তার গাড়ি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করা হয়।

আয়মান ফারেস জানান, ২০২৩ সালের আগস্টে দুর্নীতির অভিযোগে আসাদের সমালোচনা করে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে আসাদ সরকার।

তিনি আরো বলেন, অভিযানে অংশ নেওয়া যোদ্ধাদের মধ্যে উজবেক বা চেচেন ভাষাভাষী লোকজনও ছিল, যারা সিরীয়দের সঙ্গে মিলিত হয়ে নৃশংস কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল। এলাকাটিতে একাধিক পরিবারকে গুলি করে হত্যা করতে দেখেছেন আয়মান এবং বলেন, এটা ভয়াবহ ছিল।

সিরিয়ায় বর্তমানে বিদ্রোহের জন্য একটি অত্যন্ত উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সরকারি বাহিনী এবং বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী, পাশাপাশি বেকার সেনা কর্মকর্তাদের মাঝে এক ধরনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। যা দেশের অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এছাড়াও মানুষের ন্যায্য দাবি এবং তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম সিরিয়ায় নতুন একটি বিদ্রোহের জন্ম দিতে পারে, যা ইতোমধ্যেই সারা দেশজুড়ে এক অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

Link copied!